ঝাপসা পলাশ
সেই কাকভোর থেকে অগোছালো শরীরটাকে টেনে হিচড়ে, ইচ্ছে -অনিচ্ছের রাস্তা মাড়িয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়া এখন করুণ অভ্যেস।রাতের বিছানায় নেতিয়ে না পড়া পর্যন্ত শান্তি নেই, সংসার বড় বালাই। তাই চা, বিড়ি, ফর্দ, সমালোচনা, গালাগালি, হিসেবনিকেশ।অসুখটা ঠিক শরীরে নয়। চাওয়া পাওয়ার ঘাটতি গুলো মনের ভিতর জমে বাষ্প হয়ে মেঘ হয়, কিন্তু বৃষ্টি হয়না।জীবাণুদের কোলাহল বাড়তে থাকে, বিপ্লবের টের পাই সেই অদ্ভুত নীরব অনুভূতির সাম্রাজ্যে - যেটা আজও বেশ অচেনা।কল্পনার বেনো জলে ভেসে আসে উদগ্র বাসনা - ব্যার্থ চাহিদাগুলো সার দিয়ে দাঁড়ায়, সস্তা লালসার দংশনে মন জেরবার।রাত বাড়ে, পাল্লা দিয়ে চলে গাঢ় নীলচে অন্ধকারে অগাধ সাঁতার, অন্তহীন আকাশের মতো, যেখানে শব্দ নেই আছে বিস্তার।হারতে হারতেও লড়াইটা টিকিয়ে রাখার ক্ষীণ প্রয়াস, বারোমাস। কুয়াশা মাখা ভোরের পর একঘেয়ে সকাল, ঘর্মস্রাবি দিনের শেষে চোখের কোনে জমে ঝুল।সাতচল্লিশটা বসন্ত পার করার পর পলাশ, কৃষ্ণচূড়ারা আজও শুধুই লালচে ফুল।দীপক কুমার মণ্ডলবর্ধমান